About Us

Abul Hassan Mahmood Ali, MP, Honorable Minister, Ministry of Finance

     সকলের প্রতি রইল আন্তরিক সালাম ও শুভেচ্ছা।

     সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার উষালগ্নে ১৯৭২ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গঠন করে এদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও ধারাবাহিক উন্নয়ন-এর ভিত রচনা করেছিলেন। তিনি অনুধাবন করেছিলেন, দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সরকারকে যে ব্যয় করতে হয় তার মূল যোগান আসে রাজস্ব ব্যবস্থা থেকে। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করেছে। আমাদের এখন লক্ষ্য এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মাধ্যমে ২০৩১ সালে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়া; ২০৪১ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত জ্ঞানভিত্তিক এক উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার মাধ্যমে জাতির পিতার অন্তর মন প্রথিত সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের সুবর্ণ রেখাটি স্পর্শ করা। এক্ষেত্রে যথাযথ রাজস্ব সংগ্রহ কার্যক্রমের সাথে জড়িত কর্মচারী ও রাজস্ব প্রদানকারী দেশের সম্মানিত নাগরিকদের রয়েছে অপরিসীম ভূমিকা। আমি আশাবাদ ব্যক্ত করি দেশপ্রেমে উদ্ভুদ্ধ হয়ে সকলে সততা, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকবেন।

     রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে জনগণের প্রদত্ত রাজস্বের মাধ্যমে এদেশে নির্মিত হয়েছে জাতির গর্ব ও অহংকার আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু। নির্মিত হয়েছে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি। নির্মাণাধীন রয়েছে বঙ্গবন্ধু টানেল, রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট, রামপাল পাওয়ার প্রজেক্ট, মেট্রোরেল, মাতারবাড়ী এবং মহেশখালীতে পাওয়ার প্ল্যান্ট, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল লিংক, পদ্মা রেল লিংক, পায়রা ও মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্র বন্দর, চট্টগ্রামের মিরসরাই এলাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর, বাংলাদেশের প্রথম যোগাযোগ ও সম্প্রচার উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ এবং ঢাকা বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনালের কাজ সমাপ্তির পথে। নির্মিত হচ্ছে সারা দেশে ১০০টি স্পেশাল ইকোনোমিক জোন- সেখানে সরাসরি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা থাকছে ১ কোটি জনগোষ্ঠীর। এছাড়া সারা দেশে মেগাপ্রকল্পসহ বাস্তবায়নের পথে রয়েছে অগণিত উন্নয়ন প্রকল্প। দেশের সকল উন্নয়নের অংশীদার হলেন এদেশের জনগণ। আমরা সকলের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।

     আমি দৃঢ়ভাবে জানাতে চাই, জনগণের প্রদত্ত রাজস্ব বস্তুনিষ্ঠভাবেই ব্যবহার হচ্ছে। সিংহভাগই ব্যয় করা হচ্ছে এদেশের পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে। যাদের ঘর নেই তাদের ঘর তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। যারা স্কুলে যেতে পারতনা তারা আজ সবাই স্কুলে যাচ্ছে। বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে পাঠ্যপুস্তক। তারা প্রায় সকলেই কোন না কোন বৃত্তির আওতায় লেখাপড়া শিখছে। স্বপ্ন দেখছে সোনালি দিগন্ত স্পর্শের। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ১১৯টি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ব্যবস্থা করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও হিরন্ময়ী নেতৃত্বে এবং দিক নির্দেশনায় দেশ আজ অনেক দূর এগিয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশের জন্য বাংলাদেশ এখন অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।

     আমাদেরকে আরও যেতে হবে বহুদূর। এ পথ চলায় আপনাদের সকলকে আমাদের বিশেষভাবে প্রয়োজন। মৌলিক করণীয় কাজটি হচ্ছে- আমি, আপনি ও আপনাদের সবাইকে সাথে নিয়ে পিছিয়ে পড়া সকল জনগোষ্ঠীকে দ্রুততম সময়ে আমাদের অর্থনীতির মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসা- যা ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবনের লালিত স্বপ্ন।

     সকলের অনাবিল সুখ ও শান্তি কামনা করি। আমাদের সকলের জীবনে প্রবাহিত হোক প্রশান্তির অমিয় ধারা।

     জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

     বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।