09643717171

e-Return Hotline Number

প্রশ্ন

প্রশ্ন

আয়কর

আয়কর

আয়কর সংক্রান্ত সচরাচর জিজ্ঞাসা

আয়কর কি?+

আয়কর অর্থ আয়কর আইনের অধীন আরোপযোগ্য বা পরিশোধযোগ্য যেকোনো প্রকারের কর বা সারচার্জ।

আয়কর কীভাবে পরিশোধ করতে হবে?+

-চালান (A-Chalan) এর মাধ্যমে কর পরিশোধ করতে হবে। একজন করদাতা যে কর অঞ্চলের অধীন সে কর অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত কোডে করদাতাকে এ-চালান (A-Chalan) এর মাধ্যমে কর পরিশোধ করতে হবে। এছাড়াও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে  করদাতাকে আইনানুযায়ী উৎসে কর পরিশোধ করতে হবে।

কোন ব্যক্তি আয়কর প্রদানের জন্য উপযুক্ত?+

আয়কর আইন, ২০২৩ অনুসারে প্রত্যেক স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা (অনিবাসী বাংলাদেশিসহ), হিন্দু যৌথ পরিবার, অংশীদারী ফার্ম এর ক্ষেত্রে আয়ের সীমা ৩,৫০,০০০ টাকার উপরে হলে আয়কর প্রদান এর জন্য উপযুক্ত বলে বিবেচিত হবেন। তবে

(ক) মহিলা করদাতা এবং ৬৫ বৎসর বা তদূর্ধ্ব বয়সের করদাতার আয় ৪,০০,০০০ টাকা এর উপরে হলে তিনি কর প্রদানে উপযুক্ত হবেন;

(খ) তৃতীয় লিঙ্গের করদাতা এবং প্রতিবন্ধী স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার আয় ৪,৭৫,০০০ টাকা এর উপরে হলে তিনি কর প্রদানে উপযুক্ত হবেন;

(গ) গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার আয় ৫,০০,০০০ টাকা এর উপরে হলে তিনি কর প্রদানে উপযুক্ত হবেন;

(ঘ) কোনো প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতামাতা বা আইনানুগ অভিভাবকের প্রত্যেক সন্তান/পোষ্যের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ৫০,০০০ টাকা অধিক হবে; প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতা ও মাতা উভয়েই করদাতা হইলে যেকোনো একজন এই সুবিধা ভোগ করবেন।

এলাকাভেদে ন্যূনতম আয়কর কি?+

আয়কর আইন, ২০২৩ অনুসারে প্রত্যেক স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা (অনিবাসী বাংলাদেশিসহ), হিন্দু যৌথ পরিবার, অংশীদারী ফার্ম এর ক্ষেত্রে আয়ের সীমা ৩,৫০,০০০ টাকার উপরে হলে আয়কর প্রদান করতে হবে। করমুক্ত আয়ের সীমা অতিক্রম করলে করদাতাকে এলাকাভেদে যে পরিমান কর পরিশোধ করতে হয় সেটাই ন্যূনতম কর। ন্যূনতম আয়করের পরিমাণ এলাকাভেদে নিম্নরূপ:

এলাকার বিবরণ

ন্যূনতম কর হার (টাকা)

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত করদাতা

৫,০০০

অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত করদাতা

৪,০০০

সিটি কর্পোরেশন ব্যতীত অন্যান্য এলাকায় অবস্থিত করদাতা

৩,০০০

 

করমুক্ত সীমার উর্ধ্বে আয় আছে এমন করদাতার প্রদেয় আয়করের পরিমাণ তার জন্য প্রযোজ্য ন্যূনতম আয়করের পরিমাণ অপেক্ষা কম হলে, অথবা বিনিয়োগজনিত কর রেয়াত বিবেচনার পর প্রদেয় আয়করের পরিমাণ প্রযোজ্য ন্যূনতম আয়করের কম, শূন্য বা ঋণাত্মক হলেও করদাতাকে তার জন্য প্রযোজ্য ন্যূনতম আয়কর পরিশোধ করতে হবে।

করদাতার অবস্থান কিভাবে নিরুপিত হবে?+

আয়কর আইন ২০২৩ অনুসারে,

  • একজন করদাতার আয় যে কোনো স্থানেই অর্জিত হোক না কেন তিনি যেখানে অবস্থান করবেন তার সে অবস্থানের ভিত্তিতেই ন্যূনতম করের হার নির্ধারিত হবে।
  • কোনো করদাতা একই আয়বর্ষে একাধিক স্থানে অবস্থান করলে যে স্থানে তিনি সর্বাধিককাল অবস্থান করেছেন সে অবস্থানস্থলের জন্য প্রযোজ্য ন্যূনতম করহার তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
  • ব্যবসা আয়ের ক্ষেত্রে ব্যবসা পরিচালনার মুখ্য স্থানই ন্যূনতম করের জন্য একজন করদাতার অবস্থানস্থল হিসেবে বিবেচিত হবে।

একজন চাকরিজীবী করদাতা আয়বর্ষে একাধিক স্থানে কর্মরত থাকলে যে স্থানে তিনি অধিককাল কর্মরত ছিলেন ন্যূনতম করের জন্য সে স্থানই তার অবস্থানস্থল বলে বিবেচিত হবে।

আয়কর নিবন্ধন কি?+

আয়কর আইন,২০২৩ এর ধারা ২৬১ অনুসারে কোনো ব্যক্তি নিজেকে করদাতা হিসেবে নিবন্ধন করতে পারবেন যদি তিনি

(ক) করদাতা হন;

(খ) ধারা ১৬৬ এর অধীন রিটার্ন জমা দিতে বাধ্য হন;

(গ) ধারা ২৬৪ এর অধীন রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ উপস্থাপন করিতে বাধ্য হন;

(ঘ) কর প্রদান করিতে অথবা রিটার্ন দাখিল করিতে ইচ্ছুক হন।

সেক্ষেত্রে ব্যক্তি অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারেন যার বিপরীতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড করদাতাকে একটি করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) প্রদান করে। এই প্রক্রিয়াকেই আয়কর নিবন্ধন বলে।

রিটার্ন কি?+

আয়কর কর্তৃপক্ষের নিকট একজন করদাতার বার্ষিক আয়, ব্যয় এবং সম্পদের তথ্যাবলী নির্ধারিত ফরমে উপস্থাপন করার মাধ্যম হচ্ছে রিটার্ন। আয়কর আইন অনুযায়ী স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার রিটার্ন সকল প্রকার আয়ের বিবরণী, বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত সকল প্রকার পরিসম্পদ ও দায়ের বিবরণী এবং, ক্ষেত্রমত, জীবনযাপন সংশ্লিষ্ট সকল প্রকার ব্যয়ের বিবরণী সংবলিত হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে রিটার্ন দাখিল করতে হয়।

রিটার্ন কারা দাখিল করেন?+

কারা রিটার্ন দাখিল করবেন তা দুই ভাগে চিহ্নিত করা যায়, যথা:-

ক.   যাদের করযোগ্য আয় রয়েছে; এবং

খ.   যাদেরকে আবশ্যিকভাবে রিটার্ন দাখিল করতে হবে।

রিটার্ন কোথায় দাখিল করতে হয়?+

টিআইএন সনদে উল্লেখিত অধিক্ষেত্র বা সার্কেল অনুযায়ী রিটার্ন দাখিল করতে হবে। রিটার্ন দাখিলের সময় করদাতা বিদেশে অবস্থান করলে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও রিটার্ন দাখিল করা যায়। তাছাড়া, https://etaxnbr.gov.bd ওয়েবসাইট ব্যবহার করে অনলাইনেও রিটার্ন দাখিল করার সুযোগ রয়েছে।

ই-টিআইএন কি?+

ই-টিআইএন মানে ইলেকট্রনকি ট্যাক্স আইডেনটিফিকেশন নাম্বার, ইহা আয়কর নিবন্ধনের আধুনিক সংস্করণ।ইহা ১২ ডিজিটের ১টি নম্বর। একজন করদাতাকে সহজে, ঘরেবসে অনলাইনে নিবন্ধন পেতে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। www. incometax.gov.bd এই সাইট গেলে ই-টিআইএন নিবন্ধন নেওয়া যাবে।

আমি ই-টিআইএন এর জন্য কীভাবে আবেদন করতে পারি?+

আপনি ই-টিআইএন এর জন্য www. incometax.gov.bd এই সাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন এবং নিবন্ধন নিতে পাবেন।

ই-টিআইএন প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট কি লাগে?+

ধরনের উপর নির্ভর করবে টিআইএন সার্টিফিকেট পেতে কি কি তথ্য লাগবে নিম্নে ছক আকারে দেওয়া হলোঃ

Individual প্রাপ্ত বয়স্ক: করদাতার নাম, বৈধ্য জাতীয় পরিচয়পত্র, নম্বর, জন্ম তারিখ (জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী)

Individual অপ্রাপ্ত বয়স্ক: করদাতার নাম, অভিবাবকের নাম, অভিবাবকের টিআইএন, করদাতার ছবি( সফট কপি পাসপোর্ট সাইজের)

বিদেশী, বাংলাদেশি without NID: পাসপোর্ট নম্বর, পাসপোর্ট ইস্যুর তারিখ, ভিসা নম্বর, ভিসা ইস্যুর তারিখ, কর দাতার ছবি (সফট কপি, পাসপোর্ট সাইজ)

কোম্পনির নাম (নিবন্ধন অনুযায়ী) নিবন্ধন নম্বর ও তারিখ।

ফার্মে (Registered): ফার্মের নাম (নিবন্ধন অনুযায়ী), নিবন্ধন নম্বর ও তারিখ।

ফার্মে (Unregistered): ফার্মের পার্টনারদের টিআইএন নম্বর এবং তাদের নাম।

Other (AOP, HUF local Authority, AJP: Authorized person / কর্তা ব্যক্তির টিআইএন নম্বর

আমি আমার আয়কর অধীক্ষেত্র কোনটি তা কিভাবে বুঝব?+

প্রত্যেক শ্রেণীর করদাতার আয়কর অধীক্ষেত্রে নির্ধারনের কিছু পদ্ধতি রয়েছে যেমন করদাতার কর্মস্থল, করদাতার নিয়োগকারী প্রতিষ্টান, চাকুরির/ব্যবসার ধরন, মূল আয়ের উৎস ইত্যাদির বিবেচনায় কর অধীক্ষেত্রে নির্বাচিত করা হয়। বর্তমানে www.incometax.gov.bd ওয়েব সাইটে গিয়ে Jurisdiction Finder বাটনে ক্লিক করে প্রয়োজনিয় তত্ত্ব প্রদান করিলে ওয়েব সাইটি সয়ংক্রিয় ভাবে করদাতার আধিক্ষেত্র প্রদর্শন করিবে।

এছাড়াও নতুন করদাতা অনলাইনে টিঅইএন আবেদন করিলে টিঅইএন সনদের সঙ্গে কর অঞ্চল ও কর সার্কেল উল্লেখ থাকবে। করদাতাকে স্বশরীরে অধীক্ষেত্র নির্ধারন বা সার্কেলে গিয়ে আবেদন করার প্রয়োজন নেই।

রিটার্ন দাখিলের পদ্ধতি কি?+

আয়কর আইন, ২০২৩ অনুসারে রিটার্ন দাখিলের একটি পদ্ধতি প্রচলিত আছে। এটি হলো স্বনির্ধারণী পদ্ধতি।

কোন সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে?+

স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাকে করদিবসের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করতে হবে। করদিবসের মধ্যে রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে আয়কর আইনের ধারা ১৭৩ মোতাবেক কর পরিশোধ করতে হবে। করদাতা কর্তৃক রিটার্ন দাখিলের সর্বশেষ তারিখ হলো করদিবস। করদিবসের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করলে কোনো প্রকার জরিমানা বা অতিরিক্ত অর্থ পরিশোধ করতে হয় না। আয়কর আইন অনুযায়ী স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের জন্য প্রতি বছরের ৩০ নভেম্বর করদিবস। একজন স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা ১ জুলাই থেকে ৩০ নভেম্বর তারিখের মধ্যে তৎপূর্ববর্তি ৩০ শে জুন তারিখে সমাপ্ত আয়বর্ষের জন্য প্রযোজ্য করবর্ষের রিটার্ন দাখিল করবেন।

এছাড়াও, নিম্নোক্ত ক্ষেত্রসমূহে ভিন্ন ভিন্ন করদিবস রয়েছে, যেমন-

(ক)     কোনো স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা যিনি পূর্বে কখনোই রিটার্ন দাখিল করেননি তার জন্য আয়বর্ষ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৩০ জুন তারিখ।

(খ)      বিদেশে অবস্থানরত কোনো স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার ক্ষেত্রে, তার বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের দিন হতে ৯০ (নব্বই) তম দিন, যদি উক্তরূপ ব্যক্তি-

(অ)     উচ্চ শিক্ষার জন্য ছুটিতে অথবা চাকরির জন্য প্রেষণে বা লিয়েনে নিযুক্ত হয়ে বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থান করেন; বা

(আ)    অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে বৈধ ভিসা এবং পারমিটধারী হয়ে বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থান করেন;

(গ)     করদিবসের তারিখ যেক্ষেত্রে সরকারি ছুটির দিন সেক্ষেত্রে উক্ত দিনের অব্যবহিত পরবর্তী কর্মদিবস।

আমি ঠিকানা কিভাবে পরিবর্তন করতে পারি?+

আপনি www.incometax.gov.bd ওয়েব সাইট থেকে খুব সহজে ঠিকানা, মোবাইল নম্বর ও ইমেইল এড্রেস পরিবর্তন করতে পারবেন। উক্ত ওয়েব সাইট Login করে Change Contact মেনুতে ক্লিক করুন। স্ক্রিনে নতুন ফর্ম দেখতে পাবেন। প্রয়োজনীয় পরিবর্তন শেষে নিচে কেন তথ্য পরিবর্তন করেছেন তার কারণ “Update Reason” বক্সে লিখুন। অত:পর Save বাটনে ক্লিক করুন। আপনার পরিবর্তিত তথ্য ডাটাবেইজে সংরক্ষিত হয়ে যাবে।

আমার আয় আয়কর আরোপযোগ্য সীমার নিম্নে নেমে গেলে আমি কিভাবে আমার নিবন্ধন বাতিল করতে…+

আপনার আয় আয়কর আরোপ যোগ্য সীমার নিচে নেমে গেলে এবং যদি আপনার মনে হয় নিকট ভবিষ্যতে আয়সীমা ন্যুনতম আয়কর প্রদানের আওতায় আসবে না তাহলে আপনি সংশ্লিষ্ট সার্কেলের উপকর কমিশনার বরাবর টিআইএন বাতিলেন জন্য কারন ব্যাখ্যা করে আবেদন করতে পারেন। উপকর কমিশনার Inspection বা Hearing  এর মাধ্যমে অথবা আবেদনের উপর ভিত্তি করে আপনার টিআইএন এর কার্যক্রম স্থগিত বা বাতিল করতে পারেন।

নির্ধারিত সময়ে রিটার্ন না দিলে কি হবে?+

যে সকল ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, রিটার্ন দাখিল না করলে নির্ধারিত হারে বিলম্ব সুদ পরিশোধ করতে হবে এবং কর পরিগণনায় কর অব্যাহতি প্রাপ্ত আয় মোট আয়ের অন্তর্ভুক্ত হবে এবং নিয়মিত হারে কর পরিগণনা করতে হবে।

রিটার্ন দাখিলের জন্য কিভাবে সময় প্রার্থনা করতে হবে?+

আয়কর আইন, ২০২৩ অনুসারে বর্তমানে জরিমানা পরিশোধপূর্বক সারাবছরই আয়কর রিটার্ন দাখিল করা যায়।পৃথক ভাবে সময়ের আবেদন দাখিলের প্রয়োজন নেই।

আয়কর রিটার্ন দাখিল না করার শাস্তি কি?+

আয়কর আইন, ২০২৩ অনুসারে,

(ক)ধারা ১৬৬, ১৭২, ১৯১, ১৯৩ বা ২১২ এর অধীন কোনো ব্যক্তি রিটার্ন দাখিল করতে ব্যর্থ হন, সেক্ষেত্রে উপ কর কমিশনার উক্ত ব্যক্তির সর্বশেষ নিরূপিত আয়ের উপর ধার্যকৃত করের ১০% (দশ শতাংশ) হারে জরিমানা আরোপ করতে পারবেন, যাহা ন্যূনতম ১ (এক) হাজার টাকা হবে এবং ব্যর্থতা অব্যাহত থাকলে ব্যর্থতা অব্যাহত থাকাকালীন প্রতিদিনের জন্য ৫০ (পঞ্চাশ) টাকা হারে অতিরিক্ত জরিমানা আরোপ করতে পারবেন:

(খ) ধারা ১৭৭ এর অধীন কোনো রিটার্ন, তথ্য দাখিল বা উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছেন, সেক্ষেত্রে ব্যক্তির সর্বশেষ নিরূপিত আয়ের উপর ধার্যকৃত করের ১০% (দশ শতাংশ) হারে অথবা ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা, দু’টির মধ্যে যা অধিক, সেই পরিমাণ জরিমানা আরোপ করতে পারবেন এবং ব্যর্থতা অব্যাহত থাকলে, ব্যর্থতা অব্যাহত থাকাকালীন প্রতি মাসের জন্য অথবা তার ভগ্নাংশের জন্য ১ (এক) হাজার টাকা হারে অতিরিক্ত জরিমানা আরোপ করতে পারবেন।

রিটার্ন ফরম কোথায় পাওয়া যায়?+

সকল আয়কর অফিসে রিটার্ন ফরম পাওয়া যায়। একজন করদাতা সারা বছর বিনামূল্যে আয়কর অফিস থেকে রিটার্ন ফরম সংগ্রহ করতে পারেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েব সাইট (https://nbr.gov.bd/) থেকে রিটার্ন ফরম download করা যাবে। রিটার্নের ফটোকপিও গ্রহণযোগ্য।

আয়কর রিটার্ন কাদের জন্য বাধ্যতামূলক?+

আয়কর আইন, ২০২৩ অনুসারে যাদের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলকঃ

১. করদাতার মোট আয় করমুক্ত সীমা অতিক্রম করলে;

২. আয়বর্ষের পূর্ববর্তী তিন বছরের যেকোনো বছর করদাতার কর নির্ধারণ হয়ে থাকে বা তার আয় করযোগ্য হয়ে থাকে;

৩. ফার্মের অংশীদার হলে;

৪. কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার পরিচালক বা শেয়ারহোল্ডার কর্মচারী হলে;

৫. গণকর্মচারী হলে;

৬. কোনো ব্যবসায় বা পেশায় যেকোনো নির্বাহী বা ব্যবস্থাপনা পদে বেতনভোগী কর্মী হলে;

৭. কর অব্যাহতি প্রাপ্ত বা হ্রাসকৃত হারে করযোগ্য আয় থাকলে;

৮. করারোপযোগ্য আয় না থাকা সাপেক্ষে, ২০ (বিশ) লক্ষাধিক টাকার ঋণ গ্রহণে;

৯. আমদানি নিবন্ধন সনদ বা রপ্তানি নিবন্ধন সনদ প্রাপ্তিতে ও বহাল রাখতে;

১০. সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা এলাকায় ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি ও নবায়নের জন্য;

১১. সমবায় সমিতির নিবন্ধন প্রাপ্তিতে;

১২. সাধারণ বিমার তালিকাভুক্ত সার্ভেয়ার হতে এবং লাইসেন্স প্রাপ্তি ও নবায়ন করতে;

১৩. সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকায় ১০ (দশ) লক্ষাধিক টাকার জমি, বিল্ডিং বা অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রয় বা লিজ বা হস্তান্তর বা বায়নানামা বা আমমোক্তারনামা নিবন্ধন করতে;

১৪. ক্রেডিট কার্ড প্রাপ্তিতে ও বহাল রাখতে;

১৫. চিকিৎসক, দন্ত চিকিৎসক, আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট, কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্ট, প্রকৌশলী, স্থপতি অথবা সার্ভেয়ার হিসাবে বা সমজাতীয় পেশাজীবী হিসাবে কোনো স্বীকৃত পেশাজীবী সংস্থার সদস্যপদ প্রাপ্তিতে ও বহাল রাখতে;

১৬. Muslim Marriages and Divorces (Registration) Act, 1974 (Act No. LII of 1974) এর অধীন নিকাহ্‌ রেজিস্ট্রার, হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৪০ নং আইন) এর অধীন হিন্দু বিবাহ নিবন্ধক ও Special Marriage Act, 1872 (Act No. III of 1872) এর অধীন রেজিস্ট্রার হিসাবে লাইসেন্স প্রাপ্তি বা, ক্ষেত্রমত, নিয়োগপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে বহাল রাখতে;  

১৭. ট্রেডবডি বা পেশাজীবী সংস্থার সদস্যপদ প্রাপ্তি ও বহাল রাখতে;

১৮. ড্রাগ লাইসেন্স, ফায়ার লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্র, বিএসটিআই লাইসেন্স ও ছাড়পত্র প্রাপ্তি ও নবায়নে;

১৯. যেকোনো এলাকায় গ্যাসের বাণিজ্যিক ও শিল্প সংযোগ প্রাপ্তি ও বহাল রাখতে এবং সিটি কর্পোরেশন এলাকায় আবাসিক গ্যাস সংযোগ প্রাপ্তি এবং বহাল রাখতে;

২০. লঞ্চ, স্টিমার, মাছ ধরার ট্রলার, কার্গো, কোস্টার ও ডাম্ব বার্জসহ যেকোনো প্রকারের ভাড়ায় চালিত নৌযানের সার্ভে সার্টিফিকেট প্রাপ্তি ও বহাল রাখতে;

২১. পরিবেশ অধিদপ্তর বা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হইতে ইট উৎপাদনের অনুমতি প্রাপ্তি ও নবায়নে;

২২. সিটি কর্পোরেশন, জেলা সদর বা পৌরসভায় অবস্থিত ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে শিশু বা পোষ্য ভর্তিতে;

২৩. সিটি কর্পোরেশন বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ প্রাপ্তি বা বহাল রাখতে;

২৪. কোম্পানির এজেন্সী বা ডিস্ট্রিবিউটরশিপ প্রাপ্তি ও বহাল রাখতে;

২৫. আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রাপ্তি ও বহাল রাখতে;

২৬. আমদানির উদ্দেশ্যে ঋণপত্র খোলায়;

২৭. ৫ (পাঁচ) লক্ষাধিক টাকার পোস্ট অফিস সঞ্চয়ী হিসাব খোলায়;

২৮. ১০ (দশ) লক্ষাধিক টাকার মেয়াদী আমানত খোলায় ও বহাল রাখতে;

২৯. ৫ (পাঁচ) লক্ষাধিক টাকার সঞ্চয়পত্র ক্রয়ে;

৩০. পৌরসভা, উপজেলা, জেলা পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন বা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে;

৩১. মোটরযান, স্পেস বা স্থান, বাসস্থান অথবা অন্যান্য সম্পদ সরবরাহের মাধ্যমে শেয়ারড ইকোনোমিক এক্টিভিটিজে অংশগ্রহণ করতে;

৩২. ব্যবস্থাপনা বা প্রশাসনিক বা উৎপাদন কার্যক্রমের তত্ত্বাবধানকারী পদমর্যাদায় কর্মরত ব্যক্তির বেতন-ভাতাদি প্রাপ্তিতে;

৩৩. মোবাইল ব্যাংকিং বা ইলেক্ট্রনিক উপায়ে টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে এবং মোবাইল ফোনের হিসাব রিচার্জের মাধ্যমে কমিশন, ফি বা অন্য কোনো অর্থ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে;

৩৪. অ্যাডভাইজরি বা কনসাল্টেন্সি সার্ভিস, ক্যাটারিং সার্ভিস, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস, জনবল সরবরাহ, নিরাপত্তা সরবরাহ সেবা বাবদ নিবাসী কর্তৃক কোনো কোম্পানি হইতে কোনো অর্থ প্রাপ্তিতে;

৩৫. Monthly Payment Order বা এমপিও ভুক্তির মাধ্যমে সরকারের নিকট হইতে মাসিক ১৬ (ষোল) হাজার টাকার ঊর্ধ্বে কোনো অর্থ প্রাপ্তিতে;

৩৬. বিমা কোম্পানির এজেন্সি সার্টিফিকেট নিবন্ধন বা নবায়নে;   

৩৭. দ্বি-চক্র বা ত্রি-চক্র মোটরযান ব্যতীত অনান্য মোটরযানের নিবন্ধন, মালিকানা পরিবর্তন বা ফিটনেস নবায়নকালে;

৩৮. এনজিও বিষয়ক ব্যুরোতে নিবন্ধিত এনজিও বা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি হইতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থার অনুকূলে বিদেশি অনুদানের অর্থ ছাড় করতে;

৩৯.  বাংলাদেশে অবস্থিত ভোক্তাদের নিকট ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে পণ্য বা সেবা বিক্রয়ে;

৪০. কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এবং Societies Registration Act, 1860 (Act No. XXI of 1860) এর অধীন নিবন্ধিত কোনো ক্লাবের সদস্যপদ লাভের আবেদনের ক্ষেত্রে;

৪১. পণ্য সরবরাহ, চুক্তি সম্পাদন বা সেবা সরবরাহের উদ্দ্যেশে নিবাসী কর্তৃক টেন্ডার ডকুমেন্টস্‌ দাখিলকালে;

৪২. কোনো কোম্পানি বা ফার্ম কর্তৃক কোনো প্রকার পণ্য বা সেবা সরবরাহ গ্রহণকালে;

৪৩. পণ্য আমদানি বা রপ্তানির উদ্দেশ্যে বিল অব এন্ট্রি দাখিলকালে;

৪৪. রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ), রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ), গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা, সময় সময়, সরকার কর্তৃক গঠিত অনুরূপ কর্তৃপক্ষ অথবা সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অনুমোদনের নিমিত্ত ভবন নির্মাণের নকশা দাখিলকালে;

৪৫. স্ট্যাম্প, কোর্ট ফি ও কার্টিজ পেপারের ভেন্ডর বা দলিল লেখক হিসাবে নিবন্ধন, লাইসেন্স বা তালিকাভুক্তি করতে এবং বহাল রাখতে;

৪৬. ট্রাস্ট, তহবিল, ফাউন্ডেশন, এনজিও, মাইক্রোক্রেডিট অরগানাইজেশন, সোসাইটি এবং সমবায় সমিতির ব্যাংক হিসাব খুলতে এবং চালু রাখতে;

৪৭. কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি কর্তৃক সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বাড়ি ভাড়া বা লিজ গ্রহণকালে বাড়ির মালিকের;

৪৮. কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি কর্তৃক পণ্য বা সেবা সরবরাহ গ্রহণকালে সরবরাহকারীর বা সেবা প্রদানকারীর;

৪৯. হোটেল, রেস্টুরেন্ট, মোটেল, হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগন্সটিক সেন্টারসমূহের লাইসেন্স প্রাপ্তি ও নবায়নকালে;

৫০. সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত কমিউনিটি সেন্টার, কনভেনশন হল বা সমজাতীয় কোন সেবা গ্রহণকালে;

৫১. ধারা ২৬১ অনুসারে করদাতা হিসেবে নিবন্ধনযোগ্য কোনো ব্যক্তি।

আয় কী?+

আয় অর্থে নিম্নোক্ত বিষয়াদি অন্তর্ভুক্ত, যথা:-

(অ) যেকোনো উৎস হইতে উদ্ভূত আয়, প্রাপ্তি, মুনাফা বা অর্জন এবং উক্তরূপ আয়, মুনাফা বা অর্জন সংশ্লিষ্ট কোনো ক্ষতি;

(আ) আয় হিসাবে গণ্য বা বিবেচিত যেকোনো অর্থ, অথবা বাংলাদেশে উদ্ভূত, সৃষ্ট বা প্রাপ্ত যেকোনো আয় অথবা উপচিত, উদ্ভূত, সৃষ্ট বা প্রাপ্ত হিসাবে বিবেচিত যেকোনো অর্থ;

() কর আরোপ করা হয় এইরূপ যেকোনো পরিমাণ অর্থ, পরিশোধ বা লেনদেন;

(ঈ)কোনো পরিসম্পদের অর্জন যা-

(ক) প্রাকৃতিক নয়;                         

(খ) কোনো ব্যক্তির স্বীয় সৃষ্টি নয়;

(গ) দায় বা বন্ধকের বিপরীতে অধিগ্রহণ নয়;

(ঘ) উত্তরাধিকার, উইল, অছিয়ত বা ট্রাস্টমূলে অর্জিত নয়;

(ঙ) বিনিময় বা ক্রয়মূলে অর্জিত নয়।

আয়করের জন্য আয়ের খাত কি কি?+

আয়কর আইন, ২০২৩ অনুসারে একজন করদাতার সকল প্রকার আয়কে নিম্নবর্ণিত সাতটি খাতে বিভক্ত করা হয়েছে, যথা:-

(ক) চাকরি হইতে আয়;

(খ) ভাড়া হইতে আয়;

(গ) কৃষি হইতে আয়;

(ঘ) ব্যবসা হইতে আয়;

(ঙ) মূলধনি আয়;

(চ) আর্থিক পরিসম্পদ হইতে আয়; এবং

(ছ) অন্যান্য উৎস হইতে আয়।

মোট আয় কী?+

সকল খাতের আয় যোগ করে মোট আয় নির্ধারণ করতে হবে এবং উক্তরূপ মোট আয়ের উপর প্রদেয় কর পরিগণনা করতে হবে। একজন করদাতা আইটি ১১গ (২০২৩) রিটার্নের নিম্নবর্ণিত অংশে খাতভিত্তিক আয়ের বিবরণ এবং মোট আয় নির্ধারণ করতে পারবেন, যথা:

 

 

মোট আয়ের বিবরণী

টাকার পরিমাণ

চাকরি হইতে আয়

 

ভাড়া হইতে আয়

 

কৃষি হইতে আয়

 

ব্যবসা হইতে আয়

 

মূলধনি আয়

 

আর্থিক পরিসম্পদ হইতে আয় (ব্যাংক সুদ/মুনাফা, লভ্যাংশ, সঞ্চয়পত্র মুনাফা, সিকিউরিটিজ ইত্যাদি)

 

অন্যান্য উৎস হইতে আয় (রয়্যালটি, লাইসেন্স ফি, সম্মানী, ফি, সরকার প্রদত্ত নগদ ভর্তুকি ইত্যাদি)

 

ফার্ম বা ব্যক্তিসংঘের আয়ের অংশ

 

অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তান, স্ত্রী বা স্বামীর আয় (করদাতা না হইলে)

 

১০

বিদেশে উদ্ভূত করযোগ্য আয়

 

১১

মোট আয় (ক্রমিক ১ হইতে ১০ এর সমষ্টি)

 

 

ফার্ম বা ব্যক্তিসংঘ হতে প্রাপ্ত আয় কি মোট আয়ের অন্তর্ভুক্ত হবে?+

কোনো স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা যদি ফার্ম বা ব্যক্তিসংঘ হতে আয় প্রাপ্ত হন তবে তিনি উক্তরূপ আয় তার মোট আয়ের অন্তর্ভুক্ত করবেন এবং পরবর্তীতে তিনি নিয়মানুযায়ী গড়করণের মাধ্যমে উক্তরূপ আয়ের জন্য কর রেয়াত প্রাপ্ত হবেন।

স্বামী/স্ত্রী বা অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের আয় কি করদাতার মোট আয়ের অন্তর্ভুক্ত হবে?+

যেক্ষেত্রে স্বামী/স্ত্রী বা অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তান করদাতা নয় কিন্তু তাদের আয় রয়েছে সেক্ষেত্রে উক্ত আয় স্বামী/স্ত্রী যিনি করদাতা তার রিটার্নে মোট আয়ে অন্তর্ভুক্ত হবে।

আয়কর আরোপযোগ্য সীমা কি?+

আয়কর আইন, ২০২৩ অনুসারে প্রত্যেক স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা (অনিবাসী বাংলাদেশিসহ), হিন্দু যৌথ পরিবার, ও  অংশীদারী ফার্ম এর আয়ের ক্ষেত্রে আয়ের সীমা ৩,৫০,০০০ টাকার উপরে হলে আয়কর প্রদান করতে হবে। তবে

(ক) মহিলা করদাতা এবং ৬৫ বৎসর বা তদূর্ধ্ব বয়সের করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা ৪,০০,০০০ টাকা;

(খ) তৃতীয় লিঙ্গের করদাতা এবং প্রতিবন্ধী স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা ৪,৭৫,০০০ টাকা;

(গ) গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা ৫,০০,০০০ টাকা;

(ঘ) কোনো প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতামাতা বা আইনানুগ অভিভাবকের প্রত্যেক সন্তান/পোষ্যের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ৫০,০০০ টাকা অধিক হবে; প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতা ও মাতা উভয়েই করদাতা হইলে যেকোনো একজন এই সুবিধা ভোগ করবেন।

ব্যক্তি শ্রেণির আয়করের জন্য কর হারের কাঠামো কি?+

স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের জন্য ২০২৪-২০২৫ করবর্ষের জন্য প্রযোজ্য করহার নিম্নরূপঃ

 

মোট আয়

হার

(ক)  প্রথম ৩,৫০,০০০  টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর

শূন্য

(খ)  পরবর্তী ১,০০,০০০  টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর

৫%

(গ)  পরবর্তী ৪,০০,০০০  টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর

১০%

(ঘ)  পরবর্তী ৫,০০,০০০  টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর

১৫%

(ঙ) পরবর্তী ৫,০০,০০০  টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর

২০%

(চ) অবশিষ্ট মোট আয়ের উপর

২৫%

 

 

(ক) মহিলা করদাতা এবং ৬৫ বৎসর বা তদূর্ধ্ব বয়সের করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা ৪,০০,০০০  টাকা;

(খ) তৃতীয় লিঙ্গের করদাতা এবং প্রতিবন্ধী স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা ৪,৭৫,০০০  টাকা;

(গ) গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা ৫,০০,০০০  টাকা;

(ঘ) কোনো প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতামাতা বা আইনানুগ অভিভাবকের প্রত্যেক সন্তান/পোষ্যের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ৫০,০০০ টাকা অধিক হবে; প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতা ও মাতা উভয়েই করদাতা হইলে যেকোনো একজন এই সুবিধা ভোগ করবেন।

কোম্পানি আয়করের জন্য কর হারের কাঠামো কি?+

কোম্পানির জন্য ২০২৪-২০২৫ এবং ২০২৫-২০২৬ করবর্ষের করহারঃ

 

কোম্পানির বর্ণনা

প্রযোজ্য করহার

*শর্ত পরিপালনে করহার

পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানি যাদের পরিশোধিত মূলধনের ১০% এর অধিক শেয়ার IPO (Initial Public Offering) এর মাধ্যমে হস্তান্তরিত হয়েছে

২২.৫%

২০%

পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানি যাদের পরিশোধিত মূলধনের ১০% বা ১০% এর কম শেয়ার IPO (Initial Public Offering) এর মাধ্যমে হস্তান্তরিত হয়েছে

২৫%

২২.৫%

আয়কর আইন, ২০২৩ এ সংজ্ঞায়িত কোম্পানিসমূহের মধ্যে যারা পাবলিকলি ট্রেডেড নয়

২৭.৫%

২৫%

এক ব্যক্তি কোম্পানি

২২.৫%

২০%

পাবলিকলি ট্রেডেড-ব্যাংক, বীমা ও ফাইন্যান্স কোম্পানি (মার্চেন্ট ব্যাংক ব্যতীত)

৩৭.৫%

শর্ত প্রযোজ্য নয়

পাবলিকলি ট্ট্রেডেড নয় এরূপ-ব্যাংক, বীমা ও ফাইন্যান্স কোম্পানি (মার্চেন্ট ব্যাংক ব্যতীত)

৪০%

শর্ত প্রযোজ্য নয়

মার্চেন্ট ব্যাংক

৩৭.৫%

শর্ত প্রযোজ্য নয়

সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গুলসহ সকল প্রকার তামাকজাত পণ্য প্রস্তুতকারী কোম্পানি

৪৫%

শর্ত প্রযোজ্য নয়

পাবলিকলি ট্রেডেড মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি যদি তার পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ১০% শেয়ার, যার মধ্যে Pre-Initial Public Offering Placement ৫% এর অধিক থাকতে পারবে না

৪০%

শর্ত প্রযোজ্য নয়

পাবলিকলি ট্রেডেড নয় এমন মোবাইল ফোন কোম্পানি

৪৫%

শর্ত প্রযোজ্য নয়

শর্ত: বিবেচ্য আয়বর্ষে সকল প্রকার আয় ও প্রাপ্তি এবং প্রত্যেক একক লেনদেনে ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকার অধিক ও বার্ষিক সর্বমোট ৩৬ (ছত্রিশ) লক্ষ টাকার ঊর্ধ্বে সকল প্রকার ব্যয় ও বিনিয়োগ ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে।

 

করদাতার করমুক্ত আয়ের খাত সমূহ কি?+

নিম্নলিখিত খাত সমূহ মোট আয়ের অন্তর্ভূক্ত হবে নাঃ

(১) সংসদ কর্তৃক প্রণীত কোনো আইন বা সরকার কর্তৃক স্বাক্ষরিত কোনো চুক্তির অধীন আয়কর অব্যাহতিপ্রাপ্ত কোনো আন্ত-সরকারি সংস্থা বা কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা বা এর কোনো কর্মচারীর আয়

(২)      নিম্নবর্ণিত যেকোনো আয়-

(ক)     কোনো বৈদেশিক রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, এনভয়, মিনিস্টার, চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স, কমিশনার, কাউন্সিলর, কনসল দ্য কেরিয়ার, সেক্রেটারি, দূতাবাসের উপদেষ্টা বা এটাচি, হাই কমিশন, বৈদেশিক রাষ্ট্রের লিগেশন বা কমিশন কর্তৃক তাহাদের এইরূপ যোগ্যতায় চাকরি সূত্রে সংশ্লিষ্ট সরকার হইতে প্রাপ্ত পারিতোষিক;

(খ)      বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি রাষ্ট্রের ট্রেড কমিশনার বা অন্যান্য সরকারি প্রতিনিধি উক্ত পদে অবৈতনিক দায়িত্ব পালনকারী নহেন এইরূপ বেতন বাবদ যে অর্থ গ্রহণ করিয়া থাকেন, যদি সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রে এইরূপ উদ্দেশ্যে নিয়োজিত সমমর্যাদার উক্তরূপ কর্মকর্তা একই ধরনের অব্যাহতি ভোগ করিয়া থাকেন;

(গ)      দফা (ক) এবং (খ)-তে উল্লিখিত কোনো কর্মচারীর কোনো অফিস স্টাফের সদস্য কর্তৃক বেতন হিসাবে গৃহীত আয়, যখন উক্ত সদস্য বাংলাদেশের নাগরিক না হন এবং তাহার প্রতিনিধিত্বকারী রাষ্ট্রের নাগরিক হন বা অন্য কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিক হন এবং উক্ত অফিস স্টাফের সদস্য হিসাবে কার্যক্রম পরিচালনা ব্যতীত বাংলাদেশে কোনো ব্যবসা বা পেশা বা চাকরিতে নিযুক্ত না থাকেন, এবং ঐরূপ প্রতিনিধিত্বকারী রাষ্ট্রে কর্মরত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমমর্যাদার কর্মকর্তা-কর্মচারীর ক্ষেত্রে সমপ্রকৃতির অব্যাহতির বিধান কার্যকর থাকে।

(৩)     সরকার বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রাপ্ত অনুদান এবং যেকোনো প্রকারের কর, খাজনা ও শুল্ক;

(৪)      সরকারি পেনশন তহবিল হইতে করদাতা কর্তৃক গৃহীত বা করদাতার বকেয়া পেনশন;

(৫)      সরকারি আনুতোষিক তহবিল হতে করদাতা কর্তৃক আনুতোষিক হিসাবে গৃহীত অনধিক ২,৫০,০০,০০০ (দুই কোটি পঞ্চাশ লক্ষ)  টাকা আয়;

(৬)     কোনো স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিল, অনুমোদিত বার্ধক্য তহবিল, পেনশন তহবিল এবং অনুমোদিত আনুতোষিক তহবিল-

(ক)     কর্তৃক কর্মচারী বা নিয়োগকর্তা হতে গৃহীত কোনো চাঁদা; এবং

(খ)      হতে তাদের সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরণকৃত আয় যা উক্ত তহবিলের হাতে করারোপিত হয়েছে:

তবে শর্ত থাকে যে, কোনো অনুমোদিত আনুতোষিক তহবিল হইতে করদাতা কর্তৃক আনুতোষিক হিসাবে গৃহীত অর্থ অনধিক ২,৫০,০০,০০০ (দুই কোটি পঞ্চাশ লক্ষ) টাকার সীমা অতিক্রম করিবে না।

(৭)      ভবিষ্য তহবিল আইন, ১৯২৫ (১৯২৫ সনের ১৯ নং আইন) প্রযোজ্য এইরূপ কোনো ভবিষ্য তহবিলে উদ্ভূত বা উপচিত অথবা ভবিষ্য তহবিল হতে উদ্ভূত কোনো আয়;

(৮)     সরকারি সংস্থা, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, বা স্বায়ত্বশাসিত বা আধা-স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা ও তাদের নিয়ন্ত্রিত ইউনিটসমূহ বা প্রতিষ্ঠানসমূহের কোনো কর্মচারী কর্তৃক স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণের সময় এই উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোনো পরিকল্প অনুসারে গৃহীত যেকোনো পরিমাণ অর্থ;

(৯)      পেনশনারস সেভিংস সার্টিফিকেট হতে সুদ হিসাবে গৃহীত কোনো অর্থ বা গৃহীত অর্থের সমষ্টি, যেইক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আয়বর্ষের শেষে উক্ত সার্টিফিকেটের বিনিয়োগকৃত অর্থের মোট পুঞ্জীভূত অর্জিত মূল্য/ প্রকৃত মূল্য/ আক্ষরিক মূল্য/ ক্রয় মূল্য অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা হয়;

(১০)    বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক স্বীকৃত নিম্নবর্ণিত সত্তাসমূহ কর্তৃক অর্জিত যেকোনো আয়, যথা:

          (ক)     মিউচুয়াল ফান্ড (Mutual Fund);

          (খ)      বিকল্প বিনিয়োগ তহবিল (Alternative Investment Fund);

          (গ)      রিয়াল এস্টেট ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্ট (Real Estate Investment Trust);

          (ঘ)      একচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (Exchange Traded Fund);

(১১)    এনজিও বিষয়ক ব্যুরো কর্তৃক নিবন্ধিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্র ব্যতীত, সম্পূর্ণভাবে দাতব্য বা ধর্মীয় উদ্দেশ্যে ধারণকৃত ট্রাস্ট বা অন্যবিধ আইনগত বাধ্যবাধকতার অধীন গৃহ-সম্পত্তি হইতে অর্জিত আয়, যদি উক্ত আয়-

(ক)     সংশ্লিষ্ট আয়বর্ষে বাংলাদেশে দাতব্য বা ধর্মীয় উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়; অথবা

(খ)      কোনো দাতব্য বা ধর্মীয় উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত না হয়, কিন্তু বাংলাদেশে এইরূপ উদ্দেশ্যপূরণকল্পে পুঞ্জীভূত করা হয় বা চূড়ান্তভাবে পৃথক করা রাখা হয়, এবং-

(১২)    ধর্মীয় বা দাতব্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গৃহীত স্বেচ্ছায় প্রদত্ত চাঁদা যাহা কেবল ধর্মীয় বা দাতব্য উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়:

          তবে শর্ত থাকে যে, বেসরকারি ধর্মীয় ট্রাস্টের মোট আয়ের যে অংশ জনসাধারণের কল্যাণ নিশ্চিত করে না, অনুচ্ছেদ ১৭ বা ১৮ এর কোনো কিছুই মোট আয়ের সেই অংশকে এই আইনের বিধান হতে অব্যাহতি প্রদান করবে না;

(১৩)    এনজিও বিষয়ক ব্যুরো বা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিবন্ধিত কোনো বেসরকারি সংস্থার ক্ষুদ্র ঋণ কর্মকাণ্ড হইতে উদ্ভূত যেকোনো সার্ভিস চার্জ যদি তা-

(ক)     কেবল মাইক্রোক্রেডিট হিসাবে রিভলভিং হয়ে থাকে; এবং

(খ)      মাইক্রোক্রেডিটে রিভলভিং ব্যতীত অন্য কোনো পরিসম্পদ অর্জনে ব্যবহৃত না হয়; এবং

(গ)      মাইক্রোক্রেডিটে রিভলভিং ব্যতীত অন্য কোনো ব্যবসায়ে পূঁজি হিসাবে ব্যবহৃত না হয়;

(১৪)    কোনো নিয়োগকারী কর্তৃক কোনো কর্মচারীর ব্যয় পুনর্ভরণ যদি-

(ক)     উক্ত ব্যয় সম্পূর্ণভাবে এবং আবশ্যকতা অনুসারে কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সূত্রে ব্যয় করা হয়; এবং

(খ)      নিয়োগকারীর জন্য উক্ত কর্মচারীর মাধ্যমে এরূপ ব্যয় নির্বাহ সর্বাধিক সুবিধাজনক ছিল;

(১৫)    কোনো অংশীদারী ফার্মের অংশীদার হিসাবে কোনো করদাতা কর্তৃক মূলধনি আয়ের অংশ হিসাবে প্রাপ্ত আয়ের অংশ যার উপর উক্ত ফার্ম কর্তৃক কর পরিশোধ করা হয়েছে;

(১৬)    হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের সদস্য হিসাবে একজন করাদাতা যে পরিমাণ অর্থ প্রাপ্ত হন, যার উপর সেই পরিবার কর্তৃক কর পরিশোধিত;

(১৭)    বাংলাদেশি কোনো স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা কর্তৃক বিদেশে উপার্জিত কোনো আয় যা তিনি বৈদেশিক রেমিটেন্স সম্পর্কিত বিদ্যমান আইন অনুসারে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছেন;

(১৮)    কোনো করদাতা কর্তৃক ওয়েজ আর্নারস ডেভলপমেন্ট ফান্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড, ইউরো প্রিমিয়াম বন্ড, ইউরো ইনভেস্টমেন্ট বন্ড, পাউন্ড স্টারলিং ইনভেস্টমেন্ট বন্ড বা পাউন্ড স্টারলিং প্রিমিয়াম বন্ড হইতে গৃহীত কোনো আয়;

(১৯)    রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের কোনো স্বাভাবিক ব্যক্তির আয় যা কেবল উক্ত পার্বত্য জেলায় পরিচালিত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হতে উদ্ভূত হয়েছে;

(২০)    কোনো স্বাভাবিক ব্যক্তির “কৃষি হইতে আয়” খাতের আওতাভুক্ত অনধিক ২,০০,০০০ (দুই লক্ষ) টাকা পর্যন্ত কোনো আয়, যদি সেই ব্যক্তি-

(ক)     পেশায় একজন কৃষক হন;

(খ)      এর সংশ্লিষ্ট আয়বর্ষে নিম্নবর্ণিত আয় ব্যতীত কোনো আয় না থাকে, যথা;-

(অ)     জমি চাষাবাদ হইতে উদ্ভূত আয়;

(আ)    সুদ বা মুনাফা বাবদ অনধিক বিশ হাজার টাকা আয়।

(২১)    জুলাই ১, ২০২০ হইতে ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নিম্নবর্ণিত কোনো ব্যবসা হতে উদ্ভূত নিবাসী ব্যক্তি বা অনিবাসী বাংলাদেশি ব্যক্তির আয়, যথা:-

(ক)     সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট;

(খ)      সফটওয়ার বা এ্যাপ্লিকেশন কাস্টমাইজেশন;

(গ)      নেশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন);

(ঘ)      ডিজিটাল কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট ও ম্যানেজমেন্ট;

(ঙ)      ডিজিটাল এনিমেশন ডেভেলপমেন্ট;

(চ)      ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট;

(ছ)      ওয়েবসাইট সার্ভিস;

(জ)     ওয়েব লিস্টিং;

(ঝ)     আইটি প্রসেস আউটসোর্সিং;

(ঞ)     ওয়েবসাইট হোস্টিং;

(ট)      ডিজিটাল গ্রাফিক্স ডিজাইন;

(ঠ)      ডিজিটাল ডাটা এন্ট্রি ও প্রসেসিং;

(ড)     ডিজিটাল ডাটা এনালিটিক্স;

(ঢ)      গ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিস (জিআইএস);

(ণ)      আইটি সহায়তা ও সফটওয়ার মেইনটেন্যান্স সার্ভিস;

(ত)     সফটওয়ার টেস্ট ল্যাব সার্ভিস;

(থ)      কল সেন্টার সার্ভিস;

(দ)      ওভারসিজ মেডিকেল ট্রান্সক্রিপশন;

(ধ)      সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সার্ভিস;

(ন)      ডকুমেন্ট কনভারশন, ইমেজিং ও ডিজিটাল আর্কাইভিং;

(প)     রোবোটিক্স প্রসেস আউটসোর্সিং;

(ফ)     সাইভার সিকিউরিটি সার্ভিস;

(ব)      ক্লাউড সার্ভিস;

(ভ)     সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন;

(ম)     ই-লার্নিং প্লাটফর্ম;

(য)      ই-বুক পাব্লিকেশন;

(র)      মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস; এবং

(ল)     আইটি ফ্রি ল্যান্সিং।

(২২)    জুলাই ১, ২০২০ হইতে ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখের মধ্যে হস্তশিল্প রপ্তানি হতে উদ্ভূত কোনো আয়।

(২৩)    বাংলাদেশ সরকারের সাথে প্রডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট (পিএসসি) এর অধীন বাংলাদেশে পেট্রোলিয়াম পণ্য অনুসন্ধানে নিয়োজিত কোনো পেট্রোলিয়াম অনুসন্ধানকারী কোম্পানির পক্ষে সরকার কর্তৃক কর হিসাবে পরিশোধকৃত কোনো অর্থ;

(২৪)    যেকোনো পণ্য উৎপাদনে জড়িত ক্ষুদ্র বা মাঝারি শিল্প হইতে উদ্ভূত আয়, যার-

(ক)     শিল্পটি নারীর মালিকানাধীন হইলে, বাৎসরিক টার্নওভার অনধিক ৭০,০০,০০০ (সত্তর লক্ষ) টাকা;

          (খ)      অন্যান্য ক্ষেত্রে, বাৎসরিক টার্নওভার অনধিক ৫০,০০,০০০ (পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা;

(২৫)    নিম্নবর্ণিত শর্ত সাপেক্ষে, ব্যাংক, বিমা বা কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যতীত ব্যক্তি কর্তৃক জিরো কূপন বন্ড হতে উদ্ভূত কোনো আয়, যথা:-

(ক)     বাংলাদেশ ব্যাংক বা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করে কোনো ব্যাংক, বিমা বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উক্ত জিরো কূপন বন্ড ইস্যু করা হয়েছে;

(খ)      বাংলাদেশ ব্যাংক বা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করিয়া কোনো ব্যাংক, বিমা বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যতীত অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান কর্তৃক জিরো কূপন বন্ড ইস্যু করা হয়েছে; 

(২৬)    কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গৃহীত এরূপ কোনো আয় যা “আর্থিক পরিসম্পদ হইতে আয়” হিসাবে পরিগণিত নয় এবং যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি নিম্নের শর্তাবলি পরিপালন করে-

(ক)     সরকারের এমপিওভুক্ত (মাসিক পে অর্ডার এর জন্য তালিকাভুক্ত) হয়;

(খ)      সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কারিকুলাম অনুসরণ করে;

(গ)      সরকারের বিধি-বিধান অনুসারে গঠিত কোনো পরিচালনা পরিষদ কর্তৃক পরিচালিত হয়;

(২৭)    “চাকরি হইতে আয়” হিসাবে পরিগণিত আয়ের দুই-তৃতীয়াংশ বা ৪, ৫০,০০০ (চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা যাহা কম;

(২৮)    কোনো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বা কোনো আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট বা কস্ট এ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্ট বা চার্টার্ড সেক্রেটারিগণের কোনো পেশাজীবী সংগঠন কর্তৃক পরিচালিত কোনো পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান (প্রফেশনাল ইনস্টিটিউট) কর্তৃক গৃহীত সুদ বা লভ্যাংশ ব্যতীত অন্য কোনো আয়;

(২৯)    কোনো ব্যক্তি কর্তৃক বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট হইতে গৃহীত সম্মানি বা ভাতা প্রকৃতির কোনো অর্থ বা সরকারের নিকট হতে গৃহীত কোনো কল্যাণ ভাতা;

(৩০)    সরকার হতে কোনো ব্যক্তি কর্তৃক গৃহীত কোনো পুরস্কার;

(৩১)    কোনো বৃদ্ধাশ্রম পরিচালনা হতে উদ্ভূত কোনো আয়;

(৩২)    কোনো কোম্পানির অনুকূলে বণ্টিত কর পরিশোধিত লভ্যাংশ, যদি উক্ত লভ্যাংশ বিতরণকারী কোম্পানি উক্ত কর পরিশোধিত লভ্যাংশের জন্য পৃথক হিসাব সংরক্ষণ করে;

(৩৩)   ৩০ জুন ২০৩০ তারিখের মধ্যে কোনো Ocean going ship being Bangladeshi flag carrier কর্তৃক অর্জিত ব্যবসার আয় ফরেন রেমিট্যান্স সংক্রান্ত বিধানাবলি অনুসরণ করে বাংলাদেশে আনা হলে সেরকম আয়।

কর রেয়াত কি?+

কর রেয়াত হচ্ছে এক ধরণের কর অব্যাহতি। কোনো করদাতার গ্রস করদায়ের বিপরীতে আইনানুযায়ী ছাড় প্রাপ্তির বিষয়টি হচ্ছে কর রেয়াত। কর রেয়াত প্রাপ্তির পূর্বশর্ত হচ্ছে করদাতার করদায় থাকতে হবে। অর্থাৎ যেক্ষেত্রে করদাতার কোনো প্রকার করদায় নেই সেক্ষেত্রে করদাতা কোনো প্রকার কর রেয়াত প্রাপ্ত হবেন না। যেক্ষেত্রে করদাতার করদায় অপেক্ষা করদাতা কর্তৃক দাবীকৃত আইনানুগ কর রেয়াতের পরিমাণ বেশি সেক্ষেত্রে নূন্যতম করদায় পরিশোধ সাপেক্ষে রেয়াতের পরিমাণ সমন্বয় হবে।

কোন ধরনের বিনিয়োগ/দান কর রেয়াত পাওয়ার উপযুক্ত?+

একজন করদাতার বিনিয়োগের উল্লেখযোগ্য খাতগুলোর তালিকা নীচে দেয়া হলো:

▪জীবন বিমার প্রিমিয়াম;

▪ সরকারি কর্মকর্তার প্রভিডেন্ট ফান্ডে চাঁদা;

▪ স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিলে নিয়োগকর্তা ও কর্মকর্তার চাঁদা;

▪ কল্যাণ তহবিল ও গোষ্ঠী বিমা তহবিলে চাঁদা;

▪ সুপার এনুয়েশন ফান্ডে প্রদত্ত চাঁদা;

▪ যে কোনো তফসিলি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিপোজিট পেনশন স্কীমে বার্ষিক সর্বোচ্চ ১,২০,০০০ টাকা বিনিয়োগ;

▪ যেকোনো সিকিউরিটিজ ক্রয়ে ৫,০০,০০০ টাকার বিনিয়োগ;

▪ বাংলাদেশের স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার, স্টক, মিউচ্যুয়াল ফান্ড বা ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগ;

▪ যাকাত তহবিলে দান;

▪ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত কোনো দাতব্য হাসপাতালে দান;

▪ প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে স্থাপিত প্রতিষ্ঠানে দান;

▪ মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে প্রদত্ত দান;

▪ আহসানিয়া ক্যান্সার হাসপাতালে দান;

▪ ICDDRB তে প্রদত্ত দান;

▪ CRP, সাভার এ প্রদত্ত দান;

▪ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত জনকল্যাণমূলক বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দান;

▪ এশিয়াটিক সোসাইটি, বাংলাদেশ এ দান;

▪ ঢাকা আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতালে দান;

▪ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার্থে নিয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের কোনো প্রতিষ্ঠানে অনুদান।

কর নির্ধারণ কি?+

কর নির্ধারন হচ্ছে মোট আয় ও কর পরিগননার একটি পদ্ধতি। আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ১৮০ অনুসারে স্বনির্ধারনী পদ্ধতিতে করদাতার আয় এবং কর পরিগননা করা হয়। পূর্বে স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের রিটার্ন দাখিলের জন্য দু’টি পদ্ধতি প্রচলিত ছিলো- সাধারণ পদ্ধতি ও সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতি। বর্তমানে স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের রিটার্ন দাখিলের জন্য কেবল স্বনির্ধারণী পদ্ধতি রয়েছে। অন্য কোনোভাবে রিটার্ন দাখিলের সুযোগ নেই।

করবর্ষ কি?+

সাধারণতঃ আয় বর্ষের পরবর্তী বর্ষকে কর বর্ষ বলা হয়। যেমন, ১লা জুলাই ২০২৩ হতে ৩০ শে জুন ২০২৪ সময়কাল পর্যন্ত উপার্জিত আয়ের আয়বর্ষ হইবে ২০২৩-২০২৪ এবং করবর্ষ হইবে পরবর্তী বর্ষ অর্থাৎ ২০২৪-২০২৫ ।

বাবার মৃতুর পর তার টিআইএন বাতিল করার প্রয়োজনীয়তা আছে কি?+

বাবার মৃত্যুর পর টিআইএন বাতিল করার প্রয়োজনীয়তা নির্ভর করে তার উত্তরাধিকারীদের উপর। যদি এমন কোন ব্যবসা বাবার নামে থাকে যা টিআইএন বাতিল করিলে ব্যবসা সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র বাতিল করে নতুন করে করতে হয় কিংবা বড় ধরনের জটিলতা তৈরি হয় সে ক্ষেত্রে টিআইএন বাতিল না করে উত্তরাধিকারীরা প্রতিবছর বাৎসরিক রিটার্ন জমা দিয়ে Assessment  করাতে পারবেন। আর যদি টিআইএন এর কোন প্রয়োজনীয়তা না থাকে তাহলে উত্তরাধিকারীরা উপকর কমিশনার বরাবর টিআইএন বাতিলের জন্য আবেদন করিতে পারেন। উপকর কমিশনার Inspection বা Hearing  এর মাধ্যমে অথবা আবেদনের উপর ভিত্তি করে আপনার টিআইএন এর কার্যক্রম স্থগিত বা বাতিল করতে পারেন।

অনলাইন আয়কর রিটার্ন

অনলাইন আয়কর রিটার্ন সংক্রান্ত সচরাচর জিজ্ঞাসা

আমি অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে চাই। কিভাবে শুরু করব?+

অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের জন্য e-Return সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। উক্ত সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশনের জন্য আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যাবহারপূর্বক বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত সিমকার্ড সম্বলিত মোবাইল ফোন নম্বর ও একটি টিআইএন প্রয়োজন। প্রথমবার সফলভাবে রেজিস্ট্রেশন করার পর সাইন-ইন করে প্রোফাইলের তথ্য প্রয়োজন অনুসারে আপডেট করতে পারবেন। এরপর ধাপে ধাপে আপনার খাত ভিত্তিক আয়, বিনিয়োগ, পারিবারিক ব্যয়, সম্পদ ও দায় এবং কর পরিশোধের তথ্য ইনপুট দিয়ে সহজেই রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। উল্লেখ্য, তথ্য ইনপুট দেবার সময় সকল প্রমাণ ও তথ্য দেখে সঠিকভাবে ইনপুট দেওয়া বাঞ্ছনীয়।

e-Return সিস্টেমে সাইন-ইন করব কিভাবে?+

এই সিস্টেমে সাইন-ইন করার জন্য টিআইএন ও পাসওয়ার্ড প্রয়োজন। আপনি www.etaxnbr.gov.bd ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করার সময় নিজের পাসওয়ার্ড ঠিক করে নিবেন। এরপর যেকোন সময় টিআইএন ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সাইন-ইন করতে পারবেন। এছাড়া আপনার প্রয়োজনে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে পারবেন।

e-Return সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশনের জন্য কি প্রয়োজন?+

e-Return সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশনের জন্য আপনার টিআইএন ও জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যাবহার পূর্বক বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত সিমকার্ড সম্বলিত মোবাইল ফোন নম্বর প্রয়োজন। আপনার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি আপনার নামে রেজিস্টার্ড কিনা তা যাচাইয়ের জন্য *১৬০০১# ডায়াল করুন।

e-Return সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশনের পদ্ধতি কি?+

www.etaxnbr.gov.bd ওয়েবসাইটে I am not registered yet বাটনে ক্লিক করে পরবর্তীতে আপনার টিআইএন ও মোবাইল ফোন নম্বর ইনপুট দিয়ে ভেরিফাই বাটনে ক্লিক করলে আপনার মোবাইলে ৬ ডিজিটের একটি ওটিপি যাবে যা টাইপ করে পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে এবং রেজিস্টার বাটনে ক্লিক করলে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হবে।

টিআইএন খোলার সময় যে মোবাইল নম্বর দিয়েছিলাম তা আর নেই, আমি কি e- Return…+

হ্যাঁ, পারবেন। টিআইএন খোলার সময় যে মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেছিলেন তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যাবহারপূর্বক বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত সিমকার্ড সম্বলিত মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব। কোন একটি মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে e-Return সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশন করার পর মোবাইল নম্বর পরির্বতনের সুবিধাও রয়েছে।

পাসওয়ার্ড কিভাবে সেট করব? পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে কিভাবে তা রিসেট করব?+

পাসওয়ার্ড কমপক্ষে আট character বিশিষ্ট হবে। এর মধ্যে কমপক্ষে একটি করে lower case alphabete, upper case alphabete, digit (0-9) এবং special character (@, #, $, %, *, &, ! ইত্যাদি) থাকতে হবে। ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কম্পিউটার ব্যবহার করলে সিস্টেম আপনাকে গাইড করবে। পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে Forget password এ ক্লিক করলে আপনার মোবাইলে একটি OTP যাবে এবং আপনি পাসওয়ার্ড রিসেট করতে পারবেন।

মোবাইল নম্বর আমার নামে নিবন্ধিত কিনা তা কিভাবে জানতে পারব?+

আপনার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরটি আপনার নামে নিবন্ধিত কিনা তা যাচাইয়ের জন্য *১৬০০১# ডায়াল করে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরের সর্বশেষ ৪ ডিজিট ইনপুট দিতে হবে। ইনপুট দেবার পর ফিরতি মেসেজে মোবাইল ফোন কোম্পানী আপনাকে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে কয়টি মোবাইল ফোন নম্বর নিবন্ধিত তা জানিয়ে দিবে।

e-Return এর কোন সমস্যার ক্ষেত্রে সহায়তার জন্য কোথায় যোগাযোগ করব?+

e-Return এর কোন সমস্যার ক্ষেত্রে সহায়তার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কল সেন্টারে যোগাযোগ করতে পারবেন। কল সেন্টারের ০৯৬৪৩ ৭১৭১৭১ নম্বরে ছুটির দিন ব্যতীত সকাল ৯.০০ টা হতে বিকাল ৫.০০টা পর্যন্ত ফোনে আয়কর কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক e-Return এর যেকোন সমস্যা বা জিজ্ঞাসার উত্তর দিয়ে থাকেন। Etax service center পোর্টালে ইমেইল করে সহায়তা চাইতে পারবেন। এছাড়া আয়কর সেবা মাসে প্রতিটি কর অঞ্চল e-Return সংক্রান্ত সহায়তা প্রদান করছে।

মোবাইল ফোনে কি e-Return তৈরী করা যাবে?+

e-Return সিস্টেমকে সহজ ও user friendly করার জন্য অনেক feature দেয়া আছে যার অনেকগুলো মোবাইল ডিভাইসে পাওয়া যাবে না। তাই ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কম্পিউটারে এই সিস্টেম ব্যবহার করুন।

অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের পর সাপোর্টিং কাগজপত্র কোথায় জমা দিব বা কিভাবে attach করব?+

এই বছরে অনলাইন রিটার্ন দাখিলে কোনো ডকুমেন্টস upload করতে হবে না। আপনি দরকারি কাগজপত্র সাথে নিয়ে বসুন এবং প্রয়োজনীয় ফিল্ডগুলোতে নির্ভুলভাবে এন্ট্রি দিন। অনলাইনে রিটার্ন submit করার সাথে সাথে সিস্টেমে আপনার অ্যাসেসমেন্ট হয়ে যাবে এবং আপনি Acknowledgement slip পেয়ে যাবেন। Tax certificate (ট্যাক্স সার্টিফিকেট) সাথে সাথে তৈরি হয়ে যাবে। বামপাশের Tax record মেনুতে ক্লিক করে আপনি যে কোনো সময় Acknowledgement slip, Tax certificate ও রিটার্নের কপি প্রিন্ট করতে পারবেন।

অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের পর পুনরায় কি সার্কেলে রিটার্ন বা কোন প্রমাণ দাখিল করতে হবে?+

অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করার পর পুনরায় সার্কেলে রিটার্ন দাখিলের প্রয়োজন নাই। অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করার সাথে সাথেই আপনার কর নির্ধারণ (এসেসমেন্ট) সম্পন্ন হয়ে যাবে।

আমি রেজিস্ট্রেশন করেছি। সাইন-ইন করার পর কিভাবে রিটার্ন পূরণ শুরু করব?+

 রিটার্ন জমা দেওয়ার নীচের পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুনঃ

ক। etaxnbr.gov.bd এ প্রবেশ করার পর আপনি একটি স্ক্রীন দেখতে পাবেন যার বাম দিকে তিনটি মেনু দেখায় – Home, Return submission, Tax record

খ। সেই স্ক্রীন থেকে Return submission মেনুতে ক্লিক করুন। তারপর সিস্টেম আপনাকে আরেকটি স্ক্রীনে নিয়ে গিয়ে Assessment information এবং heads of income দেখাবে ।

গ। তারপর ধাপে ধাপে এগিয়ে যান এবং সফটওয়্যার আপনাকে গাইড করবে, যেকোন টার্ম বুঝতে যদি কোন অসুবিধা হয় অনুগ্রহ করে প্রথমে ইউজার ম্যানুয়াল অনুসরণ করুন। এছাড়াও অনলাইনে অধিকাংশ অপশনের উপরেই প্রশ্নবোধক চিহ্ন রয়েছে যার উপরে ক্লিক করলে সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত ব্যাখা পাওয়া যাবে  এবং তারপরেও যদি তা বোঝা কঠিন হয় তাহলে কল সেন্টারে কল দিয়ে বুঝে নিতে পারেন ।

অনলাইনে রিটার্ন জমা দেবার প্রক্রিয়া কি?+

রিটার্ন জমা দেওয়ার ৭টি ধাপ রয়েছে, সেগুলি নিচে দেয়া হল-

i) Assessment - প্রথমে আপনাকে কিছু মৌলিক তথ্য দিতে হবে

ক। Assessment information: Assessment year, Income year ইত্যাদি।

খ। Heads of income- চাকরি হতে আয়, সম্পত্তি ভাড়া হতে আয়, কৃষি আয়, ব্যবসা আয়, মূলধনী লাভ, আর্থিক পরিসম্পদ হতে আয়, অন্যান্য উৎসের আয়। এই খাতসমূহের মধ্যে প্রযোজ্যটি সিলেক্ট করতে হবে।

            গ। Additional information- আয়ের প্রধান উৎসের অবস্থান এবং অন্যান্য আয়।

ঘ। IT-10B requirements সম্পদ সম্পর্কিত তথ্য যেমন সম্পদের পরিমাণ, মোটর গাড়ি ইত্যাদি।

ii) Income – এই পেজে খাতভিত্তিক আয়ের সমস্ত তথ্য দিন, যেমন- চাকরি হতে আয়, ভাড়া হতে আয়, কৃষি হতে আয়, ব্যাবসা হতে আয়, মূলধনি হতে আয়, আর্থিক পরিসম্পদ হতে আয় এবং অন্যান্য উৎস  হতে আয়।

iii) Rebate- রেয়াতযোগ্য বিনিয়োগ যেমন জীবন বিমা, ডিপিএস, সঞ্চয়পত্র, জিপিএফ ইত্যাদির তথ্য উল্লেখ করুন।

iv) Expenditure- আপনার বাৎসরিক ব্যয় সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করুন।

v) Asset & liabilities- সম্পদ এবং দায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। যেমন: ব্যবসার মূলধন, অ-কৃষি সম্পত্তি, কৃষি সম্পত্তি, আর্থিক সম্পদ (শেয়ার, ডিবেঞ্চার, সেভিংস সার্টিফিকেট, এফডিআর, ডিপিএস), মোটর গাড়ি, সোনা, হীরা, গৃহস্থালীর জিনিসপত্র, নগদ ইত্যাদি। এছাড়া ঋণের তথ্যও প্রদান করুন।

vi) Tax & payment- এই সেকশনে সিস্টেম আপনাকে আপনার মোট আয়ের বিবরণ, ট্যাক্স কম্পিউটেশনের বিবরণ, প্রদেয় করের পরিমাণ দেখাবে । এই সেকশন থেকে আপনি ইতোমধ্যে উৎসে কর্তিত কর, অগ্রিম প্রদত্ত কর, পূর্ববর্তী বছরে পরিশোধিত অতিরিক্ত কর এবং রিটার্নের সাথে পরিশোধিত করের তথ্য প্রদান করে আপনার কর পরিশোধের তথ্য আপডেট করতে পারবেন। এরপর অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এই সেকশন হতে আপনি আপনার জন্য প্রযোজ্য প্রদেয় কর মোবাইল ব্যাংকিং যেমন- বিকাশ, রকেট, নগদ ইত্যাদি বা ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন।

vii) Return view- এখানে সম্পূর্ণ রিটার্ন দেখাবে, আপনি ভুল কোন তথ্য এন্ট্রি দিয়েছেন কিনা তা পরীক্ষা করতে পারবেন, সেভ করে রাখতে পারবেন এবং সবশেষে সাবমিট করতে পারবেন।অনলাইন রিটার্ন পূরণে আপনি চাইলে সব তথ্য একেবারে ইনপুট দিয়ে রিটার্ন দাখিল করতে পারেন আবার প্রয়োজনে সময়ে সময়ে তথ্য ইনপুট দিয়ে সেভ রাখতে পারবেন এবং সময় নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সাবমিট করতে পারবেন। সাবমিট করা হলে যেকোনো সময়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র, রিটার্ন, সার্টিফিকেট, চালান ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে পারবেন।

আমার উৎসে কর ও অগ্রিম কর প্রদান করা আছে। আমি কি অনলাইনে রিটার্ন দাখিল…+

হ্যাঁ, পারবেন। Tax & Payment সেকশনে আপনি ইতোমধ্যে উৎসে কর্তিত কর, অগ্রিম প্রদত্ত কর, পূর্ববর্তী বছরে পরিশোধিত অতিরিক্ত কর এবং রিটার্নের সাথে পরিশোধিত করের তথ্য প্রদান করে আপনার কর পরিশোধের তথ্য আপডেট করে রির্টান দাখিল করতে পারবেন।

কর্তিত উৎসে কর ও অগ্রিম করের ক্রেডিট কিভাবে পাব?+

Tax & Payment সেকশনে Total Tax Payable এর নিচে Have you paid any source tax, advance tax, or any regular tax for 2024-2025 Assessment Year?  এ Yes করলে এবং পরবর্তীতে প্রদর্শিত Do you need to update your tax payment status? Yes করলে আপনি e-Return Ledger এ প্রবেশ করবেন। এখানে যে নির্দেশনা দেওয়া আছে তা অনুসরণ করে বাম পাশের মেনু হতে আপনি উৎসে কর, অগ্রিমকরসহ সকল ধরনের কর পরিশোধের বিবরণ হালনাগাদ করতে পারবেন। উৎসে করের ক্ষেত্রে Claim source tax, অগ্রিম করের ক্ষেত্রে Claim AIT, রিটার্নের সাথে পরিশোধিত করের ক্ষেত্রে Tax paid with return, পূর্ববর্তী বছরের অতিরিক্ত পরিশোধিত কর সমন্বয়ের ক্ষেত্রে Adjustment of tax return অপশনে গিয়ে তথ্য হালনাগাদ করতে হবে।

প্রথমে Purpose of payment হতে উৎসে কর কর্তনের খাত সিলেক্ট করতে হবে। যে কর্তৃপক্ষ উৎসে কর কর্তন করে জমা প্রদান করেছে তার নাম, উৎসে করের চালান নম্বর, তারিখ, ব্যাংকের নাম, শাখার নাম পূরণ করতে হবে। তবে কোন ক্ষেত্রে চালানের পরিবর্তে সার্টিফিকেট বা প্রত্যয়ন থাকলে সার্টিফিকেটের রেফারেন্স/নথি/স্মারক নম্বর ও তারিখ পূরণ করতে হবে। এরপর উক্ত চালান/সার্টিফিকেটের মোট অংক Challan/Certificate amount এ এবং আপনার নিজের জন্য প্রযোজ্য/কর্তিত অংক Claimed amount এ টাইপ করতে হবে। উল্লেখ্য, চালান বা সার্টিফিকেটটি শুধুমাত্র আপনার জন্য প্রযোজ্য হলে Challan/Certificate amount ও Claimed amount এক হবে। কিন্তু একাধিক ব্যক্তির জন্য হলে Challan/Certificate amount এ সম্পূর্ণ অংক এবং Claimed amount এ নিজের জন্য প্রযোজ্য/কর্তিত উৎসে করের তথ্য ইনপুট দিতে হবে।

অগ্রিম কর চালানে পরিশোধের ক্ষেত্রে AIT (154) হতে চালানের তথ্য এবং গাড়ির অগ্রিম করের ক্ষেত্রে AIT on Car হতে ব্যাংক স্লিপের উপরের দিকে ডানে ট্র্যানজাকশন আইডি (Transaction ID) পূরণ করে কর পরিশোধের তথ্য হালনাগাদ করতে হবে।e-Return Ledger অংশের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট হাতে নিয়ে সতর্কতার সাথে পূরণ করতে হবে। অন্যথায় রিটার্ন পূরণ অসত্য ও অসম্পূর্ণ হয়ে যাবে।

সর্বশেষ মূল রিটার্নে ফেরত আসতে Tax Payment Status গিয়ে Go to Return বাটনে ক্লিক করতে হবে।

বেতন হতে উৎসে করের ক্রেডিট কিভাবে পাব?+

Tax & Payment সেকশনে Total Tax Payable এর নিচে Have you paid any source tax, advance tax, or any regular tax for 2024-2025 Assessment Year?  এ Yes করলে এবং পরবর্তীতে প্রদর্শিত Do you need to update your tax payment status? Yes করলে আপনি e-Return Ledger এ প্রবেশ করবেন। এখানে Claim source tax এ সরকারি কর্মচারি যাদের ibas হতে বেতন হয় তারা Salary (ibas) সিলেক্ট করে Search বাটনে ক্লিক করে কর্তিত করের পরিমাণ দেখাবে এবং আপনি করের পরিমাণ টাইপ করে সেভ অপশনে ক্লিক করে তথ্য হালনাগাদ করবেন।

অন্যান্যদের ক্ষেত্রে Salary(others) চালান, সার্টিফিকেট বা প্রত্যয়ন থাকলে তার নম্বর, তারিখ, ব্যাংকের নাম, শাখার নাম বা রেফারেন্স/নথি/স্মারক নম্বর ও তারিখ পূরণ করতে হবে। এরপর উক্ত চালান/সার্টিফিকেটের মোট অংক Challan/Certificate amount ঘরে এবং আপনার নিজের জন্য প্রযোজ্য/কর্তিত অংক Claimed amount ঘরে টাইপ করতে হবে। উল্লেখ্য চালান বা সার্টিফিকেটটি শুধুমাত্র আপনার জন্য প্রযোজ্য হলে Challan/Certificate amount ও Claimed amount এক হবে। কিন্তু একাধিক ব্যক্তির জন্য হলে Challan/Certificate amount এ সম্পূর্ণ অংক এবং Claimed amount এ নিজের জন্য প্রযোজ্য/কর্তিত উৎসে করের তথ্য ইনপুট দিতে হবে।

ব্যাংক, সঞ্চয়পত্র ও ডিভিডেন্ড এর উৎসে করের ক্রেডিট কিভাবে দাবী করব?+

Tax & Payment সেকশনে Total Tax Payable এর নিচে Have you paid any source tax, advance tax, or any regular tax for 2024-2025 Assessment Year?  এ Yes করলে এবং পরবর্তীতে প্রদর্শিত Do you need to update your tax payment status? Yes করলে আপনি e-Return Ledger এ প্রবেশ করবেন। এখানে Claim source tax এ Sanchaypatra/BankFI Interest/Other (Dividend-Section-117) হতে Sync from Income সিলেক্ট করে পরের স্ক্রীনে প্রয়োজনীয় তথ্য ইনপুট দিয়ে Save বাটনে ক্লিক করে কর্তিত করের পরিমাণ হালনাগাদ করতে হবে। এক্ষেত্রে e-Return Ledger এ প্রবেশের পূর্বে সংশ্লিষ্ট খাতের আয়ের তথ্য পূরণ না করলে Sync from Income ক্লিক করলে কোন তথ্য আসবে না।

মিটিং ফি, ট্রেনিং ফি, সম্মানী হতে প্রাপ্ত আয় কোন ধরনের আয় হিসেবে প্রদর্শন করব?+

মিটিং ফি, ট্রেনিং ফি, সম্মানী হতে প্রাপ্ত আয় হতে উৎসে কর কর্তন করা থাকলে Income from other source এর Income type এ Other source (with TDS) সিলেক্ট করে আয়ের তথ্য পূরণ করতে হবে। যদি উৎসে কর কর্তন করা না থাকে তবে Income type এ Any other income সিলেক্ট করে আয়ের তথ্য পূরণ করতে হবে।

৩০/০৬/২০১৯ তারিখের পূর্বের সঞ্চয়পত্রের উৎসে করের ক্রেডিট কিভাবে পাব?+

Tax & Payment সেকশনে Total Tax Payable এর নিচে Have you paid any source tax, advance tax, or any regular tax for 2024-2025 Assessment Year?  এ Yes করলে এবং পরবর্তীতে প্রদর্শিত Do you need to update your tax payment status? Yes করলে আপনি e-Return Ledger এ প্রবেশ করবেন। এখানে Claim source tax এ Sanchaypatra হতে Sync from Income সিলেকপূর্বে সংশ্লিষ্টরীনে Income page এ Financial asset>Sanchaypatra আয়ের সকল তথ্য প্রদর্শন করবে। এরপর প্রয়োজনীয় তথ্য ইনপুট দিয়ে Save বাটনে ক্লিক করে কর্তিত করের পরিমাণ হালনাগাদ করতে হবে। এক্ষেত্রে e-Return Ledger এ প্রবেশের পূর্বে সংশ্লিষ্ট খাতের আয়ের তথ্য পূরণ না করলে Sync from Income ক্লিক করলে কোন তথ্য আসবে না।

যৌথ সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ও উৎসে করের তথ্য কিভাবে প্রদর্শন করব?+

Tax & Payment সেকশনে Total Tax Payable এর নিচে Have you paid any source tax, advance tax, or any regular tax for 2024-2025 Assessment Year?  এ Yes করলে এবং পরবর্তীতে প্রদর্শিত Do you need to update your tax payment status? Yes করলে আপনি e-Return Ledger এ প্রবেশ করবেন। এখানে Claim source tax এ Sanchaypatra হতে Sync from Income সিলেক্ট করলে পরের স্ক্রীনে Income page এ Financial asset>Sanchaypatra এ পূরণকৃত আয়ের সকল তথ্য প্রদর্শন করবে। এখানে TDS available এর মধ্যে নিজের অংশের জন্য প্রযোজ্য অংক TDS claim (in case of joint holder your portion only) এ পূরণ করতে হবে।

গাড়ির অগ্রিম করের ক্রেডিট কিভাবে দাবী করব?+

Tax & Payment সেকশনে Total Tax Payable এর নিচে Have you paid any source tax, advance tax, or any regular tax for 2024-2025 Assessment Year?  এ Yes করলে এবং পরবর্তীতে প্রদর্শিত Do you need to update your tax payment status? Yes করলে আপনি e-Return Ledger এ প্রবেশ করবেন। এখানে Claim AIT হতে AIT on Car এ Unique Key (Transaction No.) টাইপ করার পর Search করে Save করতে হবে।

e-Return সিস্টেমের মাধ্যমে কর পরিশোধ করা যায় কি?+

প্রযোজ্য কর অপরিশোধিত থাকলে Tax & Payment সেকশন এর নিচে অপরিশোধিত কর Payable এ প্রদর্শন করবে এবং Pay Now বাটন একটিভ থাকবে। Pay Now বাটন ক্লিক করে আপনি আপনার জন্য প্রযোজ্য অপরিশোধিত কর এ-চালান বা সোনালী ব্যাংক গেটওয়ে ব্যবহার করে মোবাইল ব্যাংকিং যেমন- বিকাশ, রকেট, নগদ ইত্যাদি বা ইন্টারনেট ব্যাংকিং এবং ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কর পরিশোধ করতে পারবেন।

পূর্ববর্তী বছরের অতিরিক্ত পরিশোধিত কর কিভাবে প্রদর্শন করব?+

Tax & Payment সেকশনে Total Tax Payable এর নিচে Have you paid any source tax, advance tax, or any regular tax for 2024-2025 Assessment Year?  এ Yes করলে এবং পরবর্তীতে প্রদর্শিত Do you need to update your tax payment status? Yes করলে আপনি e-Return Ledger এ প্রবেশ করবেন। এখানে বামপাশের Adjustment of tax refund মেনু হতে আপনি পূর্ববর্তী বছরের অতিরিক্ত পরিশোধিত করের সমন্বয় প্রদর্শন করতে পারবেন। তবে উপ কর কমিশনার আপনার প্রদর্শন সঠিক কিনা তা পরবর্তীতে চেক করার পর এ সমন্বয় সম্পূর্ণরুপে কার্যকর হবে।

আমি একজন মহিলা, কিন্তু পুরুষ হিসেবে আমার কর পরিগণনা হচ্ছে। এর কারণ কি এবং…+

টিআইএন রেজিস্ট্রেশনের সময় আপনার Gender ভুলবশত Male সিলেক্ট হওয়ায় এই সমস্যা হচ্ছে। আপনি টিআইএন সিস্টেমে Edit/Correct/Update অপশন হতে এটি পরিবর্তন করে e-Return সিস্টেমে Profile হতে Sync with TIN option এ ক্লিক করে আপডেট করতে পারবেন। প্রয়োজনে কল সেন্টারের সহায়তা গ্রহণ করুন।

e-Return এ আয়কর রিটার্ন জমা প্রদানের সুবিধা কি?+

e-Return সিস্টেমে রিটার্ন জমা দেওয়া হলে আপনি তাৎক্ষণিক নিম্নোক্ত সুবিধা পাবেন-

i) ঘরে বসে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।আয়কর অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।

ii) টিন সার্টিফিকেট প্রিন্ট/ডাউনলোড করতে পারবেন।

iii) রিটার্ন ও ট্যাক্স সার্টিফিকেট প্রিন্ট/ডাউনলোড করতে পারবেন।

iv) রিটার্ন জমা দেওয়ার প্রমাণ হিসেবে Acknowledgement slip ডাউনলোড করতে পারবেন।

v) এই সিস্টেমের মাধ্যমে পরিশোধিত করের চালান ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে পারবেন।

vi) এই সিস্টেমের মাধ্যমে পূর্ববর্তী বছরসমূহে কোন রিটার্ন দাখিল করা হয়ে থাকলে তার রেকর্ড প্রিন্ট এর সুবিধা পাওয়া যাবে।

২০২৪-২০২৫ কর বছরে কার জন্য e-Return দাখিল বাধ্যতামূলক?+

২০২৪-২০২৫ কর বছরে যাদের জন্য অনলাইন রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলকঃ

ক) ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে অবস্থিত সার্কেলসমূহের অধিক্ষেত্রাভূক্ত সকল সরকারি কর্মচারি;

খ) সকল তফসিলি ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণ

গ) সকল মোবাইল টেলিকম সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারি

ঘ) ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড, বাটা সু কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড, নেসলে বাংলাদেশ পিএলসি এ কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারিগণ।

গতবছর অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের সময় সম্পদ বিবরণীতে সম্পদের তথ্য পূরণ করেছি, এবারও কি পূরণ…+

না, আপনি সম্পদ-দায় অংশে অটো ফিল (Autofill) অপশনে ক্লিক করলেই পূর্ববর্তী বছরের তথ্য চলে আসবে, এখন প্রয়োজন মাফিক আপনি এডিট, ডিলিট, এ্যড, আপডেট করতে পারবেন।

গতবার আমি অনলাইনে রিটার্ন তৈরী করে প্রিন্ট কপি অফিসে জমা দিয়েছি। কিন্ত এবার e-Return…+

বিগত বছর আপনি e-Return সিস্টেমে রিটার্ন তৈরী করলেও অনলাইনে তা দাখিল করেননি। তাই সিস্টেম আপনার তথ্য সংরক্ষণ করেনি।

Declared bank TDS is not found in declared income/ Bank TDS claimed more than…+

আপনি Income section ও Tax and payment এর Update tax payment এ ভিন্ন তথ্য ইনপুট দিয়েছেন। উভয় সেকশনে প্রকৃত তথ্য একইভাবে ইনপুট দিলে এই সমস্যা থাকবে না। অথবা সহজে ইনপুট দেবার জন্য আপনি e-Return Ledger এ Bank TDS এর ক্ষেত্রে Sync from Income ক্লিক করলে পূর্বে এন্ট্রিকৃত তথ্য দেখাবে যা সিলেক্ট করে সহজেই তথ্য হালনাগাদ করা যাবে না এবং এই সমস্যা হবে না।

কর সেবা মাসে কি e-Return সংক্রান্ত সহায়তা পাওয়া যাবে?+

বিভিন্ন কর অঞ্চল কর সেবা মাসে e-Return সংক্রান্ত সহায়তা প্রদান করছে।

গাড়ির কর সমন্বয় হচ্ছে না। করণীয় কি?+

আপনি গাড়ির জন্য ০১-০৭-২০২৩ হতে ৩০-০৬-২০২৪ এই সময়ের মধ্যে পরিশোধিত করের ব্যাংক স্লিপে উল্লিখিত ট্রানজেকশন আইডি ব্যবহার করলে সমন্বয় হবে। ৩০-০৬-২০২৪ এর পরে পরিশোধিত কর এই বছরে দাখিলকৃত রিটার্নে সমন্বয় হবে না। এক্ষেত্রে কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে কল সেন্টারের সহায়তা গ্রহণ করুন।

গত বছরে আমি ২টি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলাম। ২টি চাকরির আয় কিভাবে প্রদর্শন করব?+

Employment income section এ Add Employment হতে আপনি একাধিক চাকরির তথ্য ও আয় ইনপুট দিতে পারবেন।

আমার সম্পদ ৪ কোটির কম এবং ৮০০০ ব.ফু এর বাড়ি নেই। আমার একটি মোটরসাইকেল…+

না, প্রযোজ্য নয়।

সঞ্চয়পত্রের রেজিস্ট্রেশন দিয়ে উৎসে কর সার্চ করলে Data not found দেখায়। এর কারণ কি?+

সঞ্চয়পত্রের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও তারিখ ভুল দিলে এরুপ সমস্যা হয়। এছাড়াও ৩০/০৬/২০১৯ এর পূর্বে ক্রয়কৃত সঞ্চয়পত্র হলে সেক্ষেত্রে তথ্য আসবে না। তবে এক্ষেত্রে Income from Financial Assets পেজে আয়ের সঠিকভাবে তথ্য ইনপুট দেবার পর e-Return Ledger এ সঞ্চয়পত্রের জন্য Sync from Income ক্লিক করলে এই সমস্যা হবে না।

স্বর্ণ ও অন্যান্য সম্পদের কি বাজার মূল্য প্রদর্শন করব?+

না, পূর্ববর্তী বছরে প্রদর্শিত মূল্য, তবে নতুন হলে প্রকৃত ক্রয় মূল্য প্রদর্শন করতে হবে।

আমি জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম/জন্ম তারিখ সংশোধন করেছি। কিন্তু e-Return পূর্বের তথ্য প্রদর্শন করছে। এক্ষেত্রে…+

টিআইএন সিস্টেমে Revalidate অপশন হতে এটি পরিবর্তন করে e-Return সিস্টেমে Profile হতে Sync with TIN ব্যবহার করে আপডেট করতে পারবেন। প্রয়োজনে কল সেন্টারের সহায়তা গ্রহণ করুন।

চিকিৎসক/আইনজীবী হিসেবে e-Return এ কোথায় আয় প্রদর্শন করব?+

ব্যবসা আয় হিসেবে প্রদর্শিত হবে। নিয়মিত আয়ের ক্ষেত্রে Regular Business Income এ আয়ের তথ্য পূরণ করতে হবে। যদি প্রাপ্তি/আয় হতে উৎসে কর কর্তন করা থাকে তবে Business Subject to Minimum Tax >> Profession/ Consultancy/ Other Services এ আয়ের তথ্য পূরণ করতে হবে।

বিগত বছরের সকল সম্পদ কি এ বছর প্রদর্শন করতে হবে?+

বিগত বছরের যেসকল সম্পদ নগদায়ন বা হস্তান্তর হয়ে গেছে সেগুলো বাদে অবশিষ্ট সকল সম্পদ এ বছর প্রদর্শন করতে হবে।

e-Return এ আমি কর পরিশোধ করেছি, আমার একাউন্ট/বিকাশ হতে টাকা কেটে নিয়েছে। কিন্তু এখনও…+

আপনি সেভ করে লগ-আউট করে পুনরায় লগ-ইন করে Tax and payment পেজে যান, যদি এখনও অপরিশোধিত থাকে তবে কল সেন্টারের সহায়তা গ্রহণ করুন।

অনলাইনে দাখিলকৃত রিটার্নে ভুল হয়ে থাকলে কিভাবে তা সংশোধন করব?+

অনলাইনে দাখিলকৃত রিটার্নে ভুল হয়ে থাকলে দাখিলের ১৮০ দিনের মধ্যে আপনাকে সার্কেলে সংশোধিত পেপার রিটার্ন দাখিল করতে হবে।

আমি ৮ মাস ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও ৪ মাস সাতক্ষীরায় চাকরি করেছি। আমি…+

আপনি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সিলেক্ট করবেন।

এমপিও’ভূক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন কি সরকারি না বেসরকারি চাকরিরত হিসেবে বিবেচিত হবে?+

বেসরকারি হিসেবে বিবেচিত হবেন।

অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করলে আমার তথ্য কি নিরাপদ থাকবে?+

আপনার তথ্য সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আইনগতভাবে তথ্যের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করলে রিটার্নের সার্টিফাইড কপি কি পাওয়া যায়?+

হ্যাঁ, পাওয়া যাবে। ডিসিটি সার্টিফাইড কপি প্রদান করবেন।

কাস্টমস
মূসক